শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
নিখোঁজের তিনদিন পর সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে উদ্ধার হয়েছে খুলনার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শেখ মঈনুল ইসলাম মাহিম (১৭)। এ ঘটনায় তার পিতা শেখ সিরাজুল ইসলাম হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে ধর্মান্তর ও ভারতে পাচারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন।
একইসাথে তিনি অভিযোগ করেছেন, নকিপুর হরিতলা এলাকার এক হিন্দু প্রাইভেট শিক্ষক ও ইসকনের এক সদস্য ‘কৃষ্ণ সখা’র প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তার একমাত্র সন্তানকে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত করা হয়েছে এবং ইসকনের সদস্যপদে যুক্ত করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, মাহিম খুলনা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি সে স্থানীয় প্রাইভেট শিক্ষক কমলেশ মণ্ডলের কাছে যাওয়া-আসা করত। এ সময় মাহিমের সঙ্গে ইসকনের কয়েকজনের যোগাযোগ তৈরি হয়। তারা মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে মাহিমকে গোপনে ধর্মান্তরের চেষ্টা চালায় এবং পরে মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে তাকে ইসকনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে শুরু করে।
গত ৮ এপ্রিল রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাহিম নিখোঁজ হলে সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন পিতা শেখ সিরাজুল। ১১ এপ্রিল রাত ১০টায় স্থানীয়রা মাহিমকে গোপালপুর রাধাগোবিন্দ মন্দিরের প্রবেশপথে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে দেখে, মাহিমের ব্যাগে ইসকনের বই, জপমালা, ধুতি, চন্দন, গেঞ্জি, নগদ ২০ হাজার টাকা ও ধর্মীয় গ্রন্থ রয়েছে।
এ সময় মাহিম বাড়ি ফিরতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ইসকনের সঙ্গেই থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কথাবার্তায় অসংগতির পাশাপাশি হাতে ইনজেকশনের দাগ দেখা যায়। পরে তাকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মাহিম সেখানে চিকিৎসাধীন।
শেখ সিরাজুল ইসলাম আরও জানান, পুত্রের পাসপোর্ট ইসকনের সদস্য কৃষ্ণ সখার ভাইপো মলয়ের হেফাজতে রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এবং এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।