বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরের হরিনগর মৌজার ১২০০ বিঘা জমির উপর প্যান্ডামিক ফিসারিজ লিমিটেড মৎস্য প্রকল্পের দখল নিয়ে অপচেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান লীজ ডিড সূত্রে প্রকল্পের মালিক ও পরিচালনাকারী প্যান্ডামিক ফিসারিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ, এম সাইদুর রহমান জানান, এই প্রতিষ্ঠানটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানী কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত, প্রকল্পটি শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অফিস এবং মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত। জমির মালিকদের থেকে ১৫ বছর মেয়াদী লীজ নিয়ে ২০২০ সাল হতে প্রকল্পটি ঝামেলা মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরিচালনা করে আসছেন প্যান্ডামিক ফিসারিজ লি:। স্থানীয় বখতিয়ার রহমান, গোলাম গাজী, মোহর আলী গাইন, রুহুল কুদ্দস গাজী প্রমূখ জানান, হরিনগর মৌজার খতিয়ান নম্বর ৩৩৯,৬৪৬, ৫৬৮, ৭৫২, ১২৮, ০৮. ২৫২. ২৫৫,৬১১ সহ বিভিন্ন খতিয়ানের প্রায় ১২ শত বিঘা জমির উপর প্রজেক্টটি বর্তমানে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলমান রয়েছে। প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ জানান, সম্প্রতি একই এলাকার আলহাজ্ব আবুল কাশেম মোড়ল, জি,এম ফারুক হোসেন ও পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার বন্দকাটি গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মোড়লের পুত্র মোঃ শাওন হোসেন মোড়ল অবৈধভাবে জোর পূর্বক প্রজেক্টটি দখলের অপচেষ্টা করছেন। কেননা আলহাজ্ব আবুল কাশেম মোড়লের নেতৃত্বে এ সকল ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের লোকজন জমির মালিকদের কাছে যেয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তাদেরকে প্রলোভন, ভয়ভীতি ও প্যান্ডামিক ফিসারিজ লিঃ এর সাথে ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তির অপব্যাখ্যা দিয়ে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্তর অভিযোগে বিষয়টি নজরে আসে। ঐসব ব্যক্তি এই ভিন্ন কাগজ সৃজন করে প্রকল্প পরিচালনায় বিভিন্ন বাঁধা বিঘ্ন সৃষ্টি করার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। প্রজেক্টের সম্মুখে সাইন বোর্ডে জমির তফসিল উল্লেখ পূর্বক সকলের জ্ঞাতার্থে বিশেষ নোটিশে দেখা যায় যে, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর গ্রাম/ মৌজা নিম্ম তফসিল বর্ণিত ১২০০ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত মৎস্য প্রকল্পটির লীজ ডিড সূত্রে এর মালিক প্যান্ডামিক ফিসারিজ লিঃ, ঠিকানা: ৫/৪ বি, লালমাটিয়া, ব্লক-এ ঢাকা-১২০৭, এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এ, এম সাইদুর রহমান, যা জমির মালিকগণ প্যান্ডামিক ফিসারিজ লিঃ কে জুলাই ২০২০ সাল হতে ১৫ বছর মেয়াদী অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০৩৫ সাল পর্যন্ত লীজ ডিড দিয়েছেন। আলহাজ্ব আবুল
কাশেম মোড়ল তাদের উপর আনীত অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে জানান, প্রজেক্ট প্রতিষ্ঠাতা মেসার্স শাওন ফিস কর্তৃপক্ষ জমির হারীর টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ডিডের শর্ত ভঙ্গ করায় ঐ লীজ ডিড বাতিল হলে সমস্ত অস্থাবর সম্পত্তি জমির মালিকগণ নিয়ে নিয়েছিল।স্থানীয়রা জানান, তখন জমির মালিকগণ তাদের জমির শ্রেনি পরিবর্তন হওয়ায় এবং হারীর টাকা না পেয়ে প্রজেক্টটি পতিত অবস্থায় থাকলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। তখন তাদের দৈন্যদশা দূরীভুত করতে প্যান্ডামিক ফিসারিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তাদের পাশে দাঁড়ায় এবং ১৫ বছরের জন্য জমির ডিড প্রদান করেন। বর্তমানে জমির মালিকগণ নিয়মিত জমির হারীর টাকা পেয়ে তারা প্যান্ডামিক ফিসারিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষর উপর খুশী এবং তাদের পরিবাবের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসে।
বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্যান্ডামিক ফিসারিজ লি: এর মালিকপক্ষ যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।