1. admin@dakkhinerbarta.com : Ashiqur Rahman : Ashiqur Rahman
  2. ashiqsmi2@gmail.com : Hossain Bin Aftab : Hossain Bin Aftab
  3. kaiumrajinfo@gmail.com : Abm Kaium Raj : Abm Kaium Raj
  4. nasirhossain01996277@gmail.com : Nasir Hossain : Nasir Hossain
  5. support@wordprees.org : support :
       
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজঃ
শ্যামনগরের ভূরুলিয়ায় অন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে ছাত্রশিবিরের কর্মশালা অনুষ্ঠিত খোলপেটুয়া নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জামায়াতের আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল সম্পন্ন নূরনগর জামায়াতে ইসলামীর মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন শ্যামনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, আটুলিয়া যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি শ্যামনগরে স্মার্ট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান – হাসপাতালের প্রশংসা

ঐতিহাসিক মর্যাদায় দাঁড়িয়ে আছে বংশীপুর শাহী মসজিদ

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

এবিএম কাইয়ুম রাজ , শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক বংশীপুর শাহী মসজিদ স্থাপত্য ও ইতিহাসের অপূর্ব নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শ্যামনগর বাস টার্মিনাল থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে এই মসজিদটি অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি টেঙ্গা মসজিদ নামেও পরিচিত।

১৩৩ ফুট ৯ ইঞ্চি দীর্ঘ ও সাড়ে ৩২ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট এই আয়তাকার মসজিদটি স্থাপত্য বৈচিত্র্যে অনন্য। এর নির্মাণশৈলী মুঘল আমলের ইঙ্গিত দেয়। স্থানীয়ভাবে অনেকে বিশ্বাস করেন, মসজিদটি মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে নির্মিত। অন্য একমত অনুসারে, যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য তাঁর রাজত্বকালে মুসলিম অনুগামীদের জন্য এটি নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, ষোড়শ শতকের শেষদিকে এই মসজিদটি নির্মিত হয়ে থাকতে পারে।

ধারণা করা হয়, রাজা প্রতাপাদিত্যের বিশ্বস্ত সেনাপতি খাজা কামালের উদ্যোগে মুসলিম সৈন্যদের প্রার্থনার জন্য একটি ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। ফারসি ‘টেঙ্গা’ শব্দ থেকে এর নামকরণ হয় টেঙ্গা মসজিদ। কালের বিবর্তনে সেই ছাউনিই একসময়ে শাহী মসজিদে রূপ নেয়। তবে দীর্ঘ সময় মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা অবস্থায় মসজিদটি পরিত্যক্ত ছিল। বিশ শতকের শুরুতে এটি আবিষ্কৃত হয়।

মসজিদটির গাঁথুনিতে ব্যবহৃত ইটের সঙ্গে যশোরেশ্বরী মন্দির ও বারোদুয়ারি মন্দিরের ইটের মিল থাকায় এটি প্রতাপাদিত্যের রাজধানী ধুমঘাটের সময়কার নির্মাণ বলেই অনুমান করা হয়। গম্বুজের নিচে কারুকাজ, আটকোণা ঘাড়, খাঁজ এবং খিলান দরজা মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করলেও পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত সংস্কারে মসজিদের অনেক প্রাচীন বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যায়। সিমেন্ট ও বালির প্লাস্টারে ঢেকে ফেলা হয় ইটের কারুকাজ, মোজাইক বসানো হয় মেঝেতে এবং গম্বুজের নিচের আদি নকশাগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বর্তমানে মসজিদটি আধুনিকীকরণের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহারোপযোগী করা হয়েছে। মূল ভবনের পাঁচটি কক্ষে বসানো হয়েছে দশটি এসি। মেঝে ও দেওয়াল টাইলস দিয়ে আবৃত। প্রতিটি কক্ষের পশ্চিম দেওয়ালে রয়েছে মিহরাব, যার মধ্যে মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। উত্তর-পূর্ব কোণে নির্মিত হয়েছে একটি আধুনিক মিনার।

মসজিদ প্রাঙ্গণে উদ্ধার হওয়া কয়েকটি বৃহদাকৃতির কবর স্থানীয়ভাবে “বার ওমরাহ” নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, এগুলো মুঘল সম্রাট আকবরের পক্ষ থেকে প্রেরিত ১২ সেনানায়কের সমাধি।

প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে হাজারো মুসল্লির মিলনমেলায় মুখর হয়ে ওঠে মসজিদ চত্বর। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এই প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থাপনাটি একনজর দেখতে। বাংলাদেশের ইতিহাস, স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য সাক্ষী হয়ে আজও পূর্ণ মর্যাদায় দাঁড়িয়ে আছে বংশীপুর শাহী মসজিদ।

শেয়ার করুন

আরো খবর দেখুন
স্বত্ব © দক্ষিণেরবার্তা ২০২৪
ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।