চট্রগ্রাম কলেজে সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাফরাশ নুরী সিজ্জি জানান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে তিনি দাবি করেন।
হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের চারজন নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল করিম, শরীফুল ইসলাম, নাঈম ভূঁইয়া ও সদস্য শোয়াইবুল ইসলাম। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিজ্জি আরও অভিযোগ করেন, এই হামলার নেতৃত্ব দেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম নগরের (উত্তর) নেতা-কর্মীরা।
তবে ছাত্রশিবির এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। চট্টগ্রাম নগরের (উত্তর) ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম জানান, তিনি এই সময় ঢাকায় অবস্থান করছিলেন এবং তার সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মী এ ধরনের সহিংসতার সাথে জড়িত নয়। ফখরুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রদলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। আমাদের সংগঠন সব সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শান্তি বজায় রাখতে কাজ করে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং ছাত্রদল নিজেরাই বা অন্য কারো সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং কলেজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।”
চট্টগ্রাম কলেজের অবস্থান নগরের চকবাজার থানার অন্তর্ভুক্ত এলাকায়। এই ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, “ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়েছে বলে শুনেছি। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনা কেন ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম কলেজের সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে প্রশাসন অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।