আবু হাসান, নূরনগর (শ্যামনগর)
সাতক্ষীরার শ্যামনগর পৌরসভার ওয়ার্ড সম্মেলনকে ঘিরে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভার নকিপুর এইচসি পাইলট বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ লিয়াকত আলী ও বিএনপি কর্মী আনোয়ার-উস শাহাদাত মিঠু আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একপর্যায়ে ৮ নং ওয়ার্ডের তালিকায় ১০০ জাল ভোটার অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণ স্থগিতের আবেদন জানান পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শেখ লিয়াকত আলী। এ সময় জাল ভোটের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকরা। একপর্যায়ে এ নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে লিয়াকত ও মিঠু আহত হন।
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শাকির হোসেন বলেন, মিঠুর মাথায় গুরুতর জখম রয়েছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ লিয়াকত আলী বলেন, জাল ভোটের প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
অপর গ্রুপের নেতা শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ভোটার তালিকায় সিরিয়াল মেইনটেন করা হয়নি। সেজন্য একজন ভোট দিতে পারেনি। একজন কর্মী ভোট বন্ধ করার কথা বলেছে। এটা বলার পরই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়েছে। তারপর ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। এখানে জাল ভোটের কোনও ঘটনা ঘটেনি। লিয়াকত আলীর অভিযোগ সঠিক নয়।
সাতক্ষীরা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, আজ শ্যামনগর পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের কাউন্সিল ছিল। তবে আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলকে ঘিরে নেতৃত্বের বিরোধ ছিল। এর কারণে আজ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। ওয়ার্ডটির কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির জানান, বিএনপির নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতা লিয়াকত বাবু ও ওয়াহেদ মাস্টার গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একপক্ষের জাল ভোটের অভিযোগ নিয়ে বিরোধের