শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টায় একটি পোস্টের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতির নাম প্রকাশ্যে এলো। জানা গেছে, সাদিক কায়েম নামের এক শিক্ষার্থী, যিনি ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র, সেই পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে শিবিরের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। এছাড়াও তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
পোস্টে সাদিক কায়েম বলেন, “ফ্যাসিস্ট শাসন শুধু ছাত্ররাজনীতি নয়, রাজনীতির সংজ্ঞাও পরিবর্তন করে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদে কোনো রাজনীতি থাকে না, থাকে শুধু ফ্যাসিবাদ। টেন্ডারবাজি, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, ফাঁসি, ধর্ষণ, দুর্নীতি এসব কোনো রাজনীতি নয়, এগুলো ফ্যাসিবাদ।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, চব্বিশের চেতনা নিয়ে আগামী দিনের ছাত্ররাজনীতি পরিচালিত হবে। আওয়ামী লীগের শাসনামলের ভয়ঙ্কর দিনগুলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতির প্রতি তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি করেছিল। তবে চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নতুন রাজনৈতিক সচেতনতার জন্ম দিয়েছে। দেয়ালে দেয়ালে লেখা হচ্ছে, ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’।
সাদিক কায়েম ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে লিখেছেন, “ভিন্নমতের জন্য হকিস্টিক কিংবা স্ট্যাম্প থাকবে না, গেস্টরুম বা গণরুমের অবসান ঘটবে। চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে এই ছাত্ররাজনীতি। ভিন্নমতের কারণে মধুর ক্যান্টিনে কেউ একে অপরের ওপর চড়াও হবে না।”
ছাত্রসংসদ সক্রিয় করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ বিঘ্নিত হবে না। ছাত্রসংসদ-ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন কেউ স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে।”
পোস্টের শেষে সাদিক কায়েম নিজ পরিচয় উল্লেখ করেন: “সাদিক কায়েম, সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়”।